মানবিক বিপর্যয়ে গাজা, খাবারের জন্য পথে নেমেছে জনতা

গাজায় চলছে তীব্র খাদ্য সংকট ও ত্রাণের ভয়াবহ ঘাটতি। ক্ষুধার তাড়নায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে, বাড়ছে সহিংসতা ও লুটপাট। শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা পড়েছে চরম বিপদে। আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছাতে ব্যর্থ, জনমানুষের বেঁচে থাকা এখন বড় প্রশ্ন। গাজা এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।


জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট মোকাবিলায় দ্রুত অতিরিক্ত খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো পথে লুটপাটের মুখে পড়ায় খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েল গাজায় সাহায্য রক্ষাকারীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানায়, গাজাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষুধা, অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তারা সতর্ক করেছে, নিরাপদ ও ধারাবাহিক সহায়তা পৌঁছানো না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা UNRWA প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার বর্তমান অবস্থা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। বর্তমানে যে পরিমাণ সহায়তা প্রবেশ করছে, তা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তার মতে, সহায়তার অনেক অংশ লুটপাট হচ্ছে বা নিরাপত্তার অভাবে আটকে যাচ্ছে।

গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। অবশেষে এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো কিছু সহায়তাবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, সোমবার থেকে ৩০০টির বেশি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।

এদিকে লন্ডনে, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের প্রতিবাদে এবং যুক্তরাজ্যের ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন’ (PSC) আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানানো হয় এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় যুক্তরাজ্যের সম্পৃক্ততা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।


Exit mobile version