“প্রেস সচিবের ভাষ্যে আ. লীগ নিষিদ্ধকরণের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া”

“আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কী? প্রেস সচিবের বক্তব্যে উঠে এসেছে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও এই সিদ্ধান্তের পেছনের যুক্তি। জানুন বৈশ্বিক রাজনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।”


আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী ভাবছে?

গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মহল এই সিদ্ধান্তে বিলাপ করবে— এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই।”

তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, “জাতীয় নিরাপত্তা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী-বাদীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি ছিল।”

আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা :সংগৃহীত

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমা দেশগুলোতেও জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের নজির রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি নাৎসি দল এবং ইতালি ফ্যাসিস্ট দল নিষিদ্ধ করেছিল। স্পেন ও বেলজিয়ামেও একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

[আরোও পড়ুনঃ ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চীনের কৌশলগত সুবিধা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তিনি আরও যোগ করেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও সমর্থকরা মানবতাবিরোধী অপরাধ, ব্যাংক লুটপাট এবং বিদেশে অর্থপাচারের মতো গুরুতর অভিযোগের মুখে রয়েছে। জাতিসংঘের রিপোর্টেও এর সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে। এমন একটি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আশা করা বাস্তবসম্মত নয়।”

[আরোও পড়ুনঃ রিয়াল মাদ্রিদের ঐতিহাসিক সাফল্য] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

শফিকুল আলমের মতে, “গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় ছিল। তাই আমরা আন্তর্জাতিক স্তরে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করছি না।”


“বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ”

“বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়: বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা সাময়িকভাবে স্থগিত। জানুন বিস্তারিত তথ্য, প্রভাব ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিণতি। সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।”


জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বিফ্রিংয়ে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা,

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন : সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল। ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বিভিন্ন দল ও মহল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি আসছিল। এর মধ্যে গত বুধবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে দলটির নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের কর্মসূচিতে বিভিন্ন দল ও প্ল্যাটফর্ম যোগ দেয়। তারইপ্রেক্ষিতে রাতে জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা এবং তাতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত আসে। “এই কন্টেন্ট এর বাংলাতে ৫টি SEO friendly Tag & কিওয়ার্ড জেনারেট করো “চার শব্দের” ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলি ”

[আরোও পড়ুনঃ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]


Exit mobile version