গাজা যুদ্ধ ভয়াবহ নিষ্ঠুরতায় রূপ নিচ্ছে, প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। সংঘর্ষে ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি ও জীবিকা। মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত নাগরিকরা সহায়তা পাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন হলেও সহিংসতা থামছে না। বিস্তারিত জানতে পড়ুন পুরো প্রতিবেদন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার (২৩ মে) জানিয়েছেন, গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা এখন যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ ও অমানবিক সময় পার করছেন। ইসরায়েলি অবরোধ কিছুটা শিথিল হওয়ার পর সেখানে সীমিত পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ মিললেও, সেই ত্রাণের অনেক অংশ লুটপাটের শিকার হয়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদন অনুসারে, হামাসকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে সম্প্রসারিত ইসরায়েলি অভিযানের মাঝে কিছু পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ ফের চালু হয়েছে। তবে বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ। গাজার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবারের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
গুতেরেস বলেন, “গাজার মানুষ এই সংঘাতের সবচেয়ে কঠিন ও বর্বরতম পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।” তিনি ইসরায়েলকে আহ্বান জানান যেন মানবিক সহায়তা সরবরাহে আরও বাধাহীনভাবে সুযোগ দেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি থাকলেও, মাত্র ১১৫টি ট্রাক প্রকৃতপক্ষে প্রবেশ করতে পেরেছে। তার ভাষায়, “এই পরিমাণ সহায়তা যেন মরুভূমিতে এক ফোঁটা জল। বাস্তবতা হলো, এখানে দরকার ছিল সাহায্যের জোয়ার।”
এদিকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানায় যে তাদের ১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার পথে লুটপাট হয়েছে। ক্ষুধা, হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
গাজা শহরের বন্দর এলাকায় আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত নাগরিক সোবি ঘাটাস বলেন, “আমি বিশ্বের বিবেকবান মানুষের কাছে মিনতি করছি—আমাদের জন্য একটু খাবার আর বিশুদ্ধ পানি পাঠান। আমার ছোট মেয়ে সকাল থেকে রুটি চাইছে, অথচ আমাদের ঘরে কিছুই নেই।”