বেতন বাকি, শ্রমিকদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অচলাবস্থা: একদেশ পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ। মঙ্গলবার এ.এস.টি. গার্মেন্টসের শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে, তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না পাওয়ার অভিযোগ জানান। পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং আইনি পদক্ষেপের আশ্বাস দেয়।

ছবি: ইত্তেফাক

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। পাইনাদি নতুন মহল্লার এ.এস.টি. গার্মেন্টস লিমিটেডের শতাধিক কর্মী তাদের বকেয়া বেতন এবং কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রায় এক ঘণ্টার এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের ঢাকামুখী অংশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে, যার ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে তাদের গন্তব্যের দিকে রওনা হন। পরবর্তীতে, ট্রাফিক বিভাগ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন যে তারা গত তিন মাস ধরে তাদের বেতন পাননি। ঈদ-উল-ফিতরের পূর্বে বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উপরন্তু, কারখানাটি আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় তারা তাদের পরিবারের ভরণপোষণ নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। শ্রমিকরা অবিলম্বে কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জোর দাবি জানিয়েছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরও জানান, কারখানা মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

,

Exit mobile version