‘জয় বাংলা’ বলায় যদি শাস্তি হয়, আমি তাও মাথা পেতে নেব: নারায়ণগঞ্জের মেয়র

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, যদি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া অপরাধ হয়, তবে তিনি সেই অপরাধে গর্বিতভাবে অপরাধী হতে প্রস্তুত। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ‘জয় বাংলা’ শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতীয় পরিচয়ের অংশ। সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কে নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি জানান— ইতিহাস ও সত্যের পাশে দাঁড়াতে তিনি কখনো পিছপা হবেন না।


প্রায় ছয় ঘণ্টা টানা অভিযানের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। শুক্রবার (৯ মে) ভোর ছয়টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার দেওভোগ এলাকার বাসা থেকে তাকে হেফাজতে নেয়। এ সময় বাড়ির সামনে শত শত সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন।

পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগমুহূর্তে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, “আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমি জানি না। প্রশাসন বলেছে আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে, কিন্তু তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ২১ বছর আমি নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে ছিলাম। ‘জয় বাংলা’ বলাটা যদি অপরাধ হয়, তবে আমি সে অপরাধ করতে রাজি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি কি কোনো অন্যায় করেছি? হত্যা, চাঁদাবাজি, বিরোধী দল দমন—এসব কি আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে? তাহলে কেন এই গ্রেপ্তার? এটা কি কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? সরকারের বদল হলে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন কোথায়? আমি তো পলাতক ছিলাম না, বাড়িতেই ছিলাম। তাহলে এত বড় অভিযানের প্রয়োজন কী ছিল? আমি জনগণের কাছে জবাব চাই।”

[আরোও পড়ুনঃসহকারী রেজিস্ট্রারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় সদর মডেল থানার পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে এবং বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে। তারা সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বিক্ষোভ শুরু করে। রাত দেড়টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি এলাকায় অবস্থান করছিল।

স্থানীয়দের মতে, সেলিনা হায়াৎ আইভী এলাকার একজন জনপ্রিয় নেত্রী। তাই তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের উপস্থিতি দেখেই মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।


দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে জনগণ প্রতিবাদ ছুড়ে দিবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, জনগণের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে এবং তারা প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে পারে। এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিস্তারিত জানুন ফখরুলের এই সতর্কবার্তা ও জনমতের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, দলের কর্মীদের যেকোনও অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে, অন্যথায় আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিকেও জনরোষের শিকার হতে হবে। তিনি জেলা পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশ দেন, যদি কোনও কর্মী বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, তবে তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

আরোও পড়ুন

মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা দেখেছেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনাকে পালানোর সময়টুকুও দেয়নি। সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। খারাপ কাজ করেছে বলেই সাধারণ মানুষ তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, এবার সেই সুযোগ এসেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।” তিনি একটি শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতির দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।


Exit mobile version