মোটরসাইকেল জব্দকে কেন্দ্র করে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থানায় হামলা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা হতে পারে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
শরীয়তপুরে থানায় হামলা: মোটরসাইকেল জব্দকে কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
শরীয়তপুরের নড়িয়া থানায় মোটরসাইকেল জব্দকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের থানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন মামলা করেছেন এবং পুলিশ ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন মোল্লা শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রমতে, বুধবার রাতে ঘড়িসার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া এলাকা থেকে কাগজপত্রবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরদিন রাতে নড়িয়া পৌর যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান শেখের ভাতিজা শাহীন শেখসহ কয়েকজন মোটরসাইকেল ছাড়ানোর জন্য থানায় গেলে পুলিশ কাগজপত্র না থাকায় তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
[আরোও পড়ুনঃযমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]
হামলায় পুলিশ কনস্টেবল বিল্লাল হোসেন আহত হন, যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। থানার জানালার কাচ ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওসি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “অপরাধীরা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”