জবি শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, এনসিপিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা নিয়ে বিতর্ক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এনসিপিদের সাদর সংবর্ধনার দিনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে পুলিশের লাঠিচার্জ, জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। ছাত্রদের প্রশ্ন—একপক্ষকে ফুল, অন্যপক্ষকে লাঠি কেন? প্রশাসনের দ্বৈত আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে। বিস্তারিত জানুন ঘটনাটির পটভূমি ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য এই প্রতিবেদনে।


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, “আপনারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। আমরা আপনাদেরকে সমর্থন দিয়েছি, এখনও দিচ্ছি। কিন্তু যখন এনসিপি যমুনার দিকে যায়, তখন তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করেন, অথচ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে এলে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস আর সাউন্ড গ্রেনেড উপহার দেন।”

বৃহস্পতিবার (১৫ মে), জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব মন্তব্য করেন রিজভী। উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

[আরোও পড়ুনঃ আবার কর্মসংস্থান পাচ্ছে বাংলাদেশিরা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তিনি বলেন, “মাত্র কয়েকদিন আগে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে আপনাদের কাছে এলো, আপনারা তাদের সম্মান জানালেন। অথচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন সমস্যা নিয়ে এলে আপনারা তাদের দমন করলেন। আপনারা তো সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন—তাহলে এই দ্বিচারিতা কেন?”

রিজভী আরও বলেন, “বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ষড়যন্ত্র আর অস্থিরতা চারদিকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি সেই সব উপেক্ষা করে নিজেদের মত করে দেশ চালাবে? ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, আজ তারাই ক্ষমতায়। তাহলে এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তরুণের লাশ পড়ে থাকছে? কেন শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরছে?”

[আরোও পড়ুনঃরাঙামাটিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তিনি বলেন, “ছাত্রদল নেতা সাম্যকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে কোনো ভবঘুরে হত্যা করেনি, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কয়েকদিন আগে সে জাতীয় সংগীত নিয়ে শাহবাগে চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছিল—এটাই কি তার মৃত্যুর কারণ?”


Exit mobile version