সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা

জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি মহল চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ভোট বিলম্বের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা। এসব তৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও উদ্বেগ, যা নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।


জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা তৈরি হয়েছে, সেখানে এখন অন্ধকারের ছায়া নেমে আসছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”

তিনি বলেন, “একটি মহল সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে ‘গোত্রভিত্তিক রাজনীতি’ চালু করতে চাইছে। সরকারের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চলছে।”

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, “সরকারের ভেতর কিছু অনুপ্রবেশকারী দেশের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছে।”

এই প্রেক্ষাপটে, দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এ সময় তিনি জানান, জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির আটদিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হবে ২৫ মে। ২৭ ও ২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে তারুণ্যের সমাবেশ এবং ২৯ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা। ৩০ মে সকালে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version