সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সেনাবাহিনীকে ভারতের আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে অনুমতি দিয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে এই সিদ্ধান্তকে ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখানো হলেও আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।
🔻 ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: পাল্টাপাল্টি হামলার অনুমতি দিল পাকিস্তান
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। চলমান বাকযুদ্ধ ও সামরিক হুমকির ধারাবাহিকতায় এবার বাস্তবে রূপ নিয়েছে সামরিক সংঘর্ষ। ভারত আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কমিটি—ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (NSC)—সেনাবাহিনীকে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
[আরোও পড়ুনঃ তাইওয়ানে ভূমিকম্পের ধাক্কা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]
বুধবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত NSC সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
দ্য ডন-এর বরাতে জানা যায়, পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে প্রস্তুত এবং ভারতের হামলার জবাবে “যেকোনো সময় ও স্থানে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া” জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে কমিটি বলেছে, দেশের নিরীহ মানুষের প্রাণহানি এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। ফলে, সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।