ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে, যাতে তারা ইসরাইলি বা ইসরাইল-সম্পর্কিত জাহাজ ছাড়া অন্য সকল দেশের জাহাজের জন্য লোহিত সাগরের জলপথ নিরাপদ বলে উল্লেখ করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক নৌচলাচলের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট নীতিমালা প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে শুধুমাত্র ইসরাইলি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জাহাজই তাদের লক্ষ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। হুথি নেতৃত্বের এই অবস্থান ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তাদের কৌশলগত অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করেছে।
হুথি রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রতিনিধি আব্দুলমালিক আল-আজরি গত ৭ মে (বুধবার) এএফপিকে জানান, ইসরায়েলি জাহাজ ব্যতীত অন্যান্য সব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য সমুদ্রপথ নিরাপদ রয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল এই সমঝোতার অন্তর্ভুক্ত নয়—এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পক্ষের জন্য প্রযোজ্য।
এর আগের দিন, ওমান ঘোষণা দেয় যে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান-সমর্থিত হুথিদের মধ্যে একটি সমঝোতা চূড়ান্ত করতে সহায়তা করেছে। এই সমঝোতা অনুযায়ী, কোনও পক্ষ আরেক পক্ষকে টার্গেট করবে না এবং লোহিত সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল বজায় রাখা হবে।
[আরোও পড়ুনঃলাহোরে শোনা গেল বিস্ফোরণের আওয়াজ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, টানা সাত সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বোমা হামলার পর হুথিরা শেষ পর্যন্ত ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে এবং সমুদ্রপথে হামলা বন্ধের অঙ্গীকার করেছে।
হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “তারা যুদ্ধই চায় না—আমরা সেটিকে শ্রদ্ধা জানাব এবং আক্রমণ বন্ধ করব। তারা আত্মসমর্পণ করেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আর কোনও জাহাজে হামলা চালাবে না। এটাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।”