গাজায় ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছে ৫১ জন। এই ভয়াবহ আগ্রাসনে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। চলমান সংঘাত গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। হামলার আপডেট ও বিশ্লেষণ জানতে পড়ুন আমাদের বিস্তারিত প্রতিবেদন।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর থেকে সারাদিনে অন্তত ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা শহর ও উত্তরের বিভিন্ন অংশে লাগাতার এই বিমান হামলায় হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
অন্যদিকে, অবরোধ কিছুটা শিথিল করায় গাজায় সীমিত আকারে কিছু মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করেছে। তবে তা ভয়াবহ মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনো কোনো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছায়নি। সেখানে হাজার হাজার মানুষ আটকে আছে—যাদের খাদ্য, পানি ও চিকিৎসার চরম সংকট চলছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি এতটাই অনিশ্চিত যে, অনেক ত্রাণ সংস্থা সাহস করে সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিদিন গাজায় অন্তত ৫০০টি খাদ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে না পারলে দুর্ভিক্ষ রোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ইসরায়েলি সামরিক বাধা ও চলমান অবরোধের কারণে সেটি কার্যকর হচ্ছে না। হামলার ভয় ও লুটপাটের আশঙ্কায় অনেক ত্রাণ সহায়তা রাস্তায় আটকে আছে।
বহুদিন ধরে অবরোধের কারণে গাজাবাসী মানবিক সংকটে নিপতিত। জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে গাজায় অন্তত ৫ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে এবং পুরো অঞ্চলটি চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। পোপ লিও চতুর্দশ গাজার এই সংকটকে গভীর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছানোর উপর জোর দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি হামলা নতুন করে আরও তীব্র হয়েছে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩,৫০৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এখন পর্যন্ত ৫৩,৬৫৫ জনের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।