| বিবিসি
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সফরের জন্য আবেগপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন। জেলেনস্কি চান ট্রাম্প স্বচক্ষে ইউক্রেনের মানুষের দুর্ভোগ এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করুন। এই আমন্ত্রণ এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইউক্রেন রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলেনস্কি মনে করেন ট্রাম্পের এই সফর বিশ্ব জনমতকে আরও শক্তিশালী করতে এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি শুধু একটি আমন্ত্রণ নয়, বরং ইউক্রেনের টিকে থাকার লড়াইয়ে বিশ্ব নেতাদের সংবেদনশীল হওয়ার একটি বার্তা। এই সফর হয়তো শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করতে পারে।

জেলেনস্কির আহ্বান: যুদ্ধচুক্তির আগে ইউক্রেনে আসার অনুরোধ ট্রাম্পকে
বিস্তারিত | আরোও পড়ুন |
---|---|
রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যেকোনো শান্তি চুক্তির আগে ইউক্রেন সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সিক্সটি মিনিটস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এই আহ্বান জানান। এই সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করা হয়েছিল সুমি শহরে রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৪ জন নিহত হওয়ার আগেই। সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “যেকোনো সমঝোতা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুরোধ করব যেন তিনি ইউক্রেনে এসে আমাদের মানুষদের দেখেন—এই বেসামরিক জনগণ, যোদ্ধা, শিশু, হাসপাতাল, গির্জা—যাদের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে কিংবা যারা ধ্বংসের শিকার হয়েছেন।” রাশিয়া দাবি করেছে, তারা কেবল সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ট্রাম্প একে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর কাছে খবর এসেছে, রাশিয়া হয়তো ‘একটি ভুল করেছে’। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। ট্রাম্প পূর্ব থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আগ্রহ দেখিয়ে এসেছেন। ২০ জানুয়ারি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এই উদ্যোগে আরও জোর দেন। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিনি অবসরপ্রাপ্ত …. | লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেইথ কেলগকে ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সুমি শহরের হামলার পর কেলগ বলেন, “এই হামলা যে কোনো মানবিকতার সীমা অতিক্রম করেছে।” ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের লুক্সেমবার্গে আজকের বৈঠকের আগেই সুমিতে এই হামলা হয়। ইউরোপীয় নেতারা এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ জানান, “এই হামলা মানুষের জীবন, আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের প্রতি এক নির্মম অবহেলা।” জার্মান চ্যান্সেলর হতে যাওয়া ফ্রিডরিখ মের্ৎস এটিকে ‘গুরুতর যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, “এই হামলা রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির ব্যাখ্যাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে।” ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস বলেন, “এই হামলা প্রমাণ করে, রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখতে এবং ইউক্রেনকে সমর্থন জানাতে এখন আরও বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়। এই যুদ্ধ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান। এতে উভয় পক্ষেই লাখো সেনা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ যুদ্ধে প্রায় ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। |
বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজ ও ইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন