লিভারপুলের বিপক্ষে ব্রাইটনের জয়, দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে

হিনশেলউডের নির্ধারক গোলে ব্রাইটন দুর্দান্তভাবে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে ফিরে এসে জয় ছিনিয়ে নেয়। এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ তাদের ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার স্বপ্ন আরও জোরালো করেছে। ব্রাইটনের এই কামব্যাক জয় প্রিমিয়ার লিগে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করল এবং সমর্থকদের মাঝে তৈরি করল নতুন আশাবাদের ঢেউ।


আর্নে স্লট তার দলকে চার ম্যাচ বাকি থাকতেই লিভারপুলের ২০তম লিগ শিরোপা জয়ী করে তোলার পর পুরো সপ্তাহ কাটিয়েছেন ইবিজায় উৎসব করে। তবে ইউরোপে খেলার আশা টিকে রাখতে মরিয়া ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচে এসে তারা যেন মাটিতে নামলেন। ব্রাইটনের কোচ ফাবিয়ান হুর্জেলারের কৌশলে এবং জ্যাক হিনশেলউডের অতিরিক্ত সময়ে করা জয়সূচক গোলে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে।

দু’বার পিছিয়ে পড়েও স্বাগতিক দল দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরেছে। হাভি এলিয়ট ও ডমিনিক সোবোস্লাইয়ের গোলে এগিয়ে গেলেও, ইয়াসিন আয়ারি এবং বদলি হিসেবে নামা কাওরু মিতোমা চমৎকার অ্যাক্রোব্যাটিক শটে ম্যাচে সমতা ফেরান। শেষদিকে হিনশেলউডের গোলের মাধ্যমে ব্রাইটন তুলে নেয় দারুণ এক জয়। এই জয়ে তারা এখন ব্রেন্টফোর্ডকে পিছনে ফেলে ইউরোপীয় টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জনের দৌড়ে এগিয়ে গেছে।

লিভারপুলের বিপক্ষে ব্রাইটনের জয় : ফাইল ছবি

সালাহর ফিনিশিং ভুল ও আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের বেঞ্চে বসে থাকা নিয়ে লিভারপুল কোচ স্লটের কোনো অজুহাত ছিল না। ম্যাচ শেষে আর্নে স্লট বলেন, “আমরা দেখেছি কীভাবে মাত্র দুই-তিন শতাংশ কমলে ম্যাচ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায়।”

চিয়েসা, যিনি প্রথমবারের মতো লিগে শুরুর একাদশে ছিলেন, ছিলেন অপ্রস্তুত। সালাহর কাছে থাকা সুযোগ যদি কাজে লাগত, লিভারপুল অনেক আগেই ম্যাচ নিশ্চিত করতে পারত। কিন্তু সেই সুযোগ না কাজে লাগানোই তাদের বিপদ ডেকে আনে।

মিতোমার সমতাসূচক গোল ও হিনশেলউডের জয়সূচক গোল ব্রাইটনকে নতুন প্রাণ দেয়। তরুণ খেলোয়াড় হ্যারি হাওয়েলও এই ম্যাচে অভিষেক করেন, যা ছিল আরও এক বিশেষ মুহূর্ত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *