দুদকের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান:
“এই মামলা ক্রিকেট প্রশাসনে জবাবদিহিতার নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। আমরা ক্রিকেটের সাথে জড়িত সকল অনিয়মের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।
দুদকের জালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব: ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ মামলা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিসিবির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মল্লিক ক্রিকেট প্রশাসনে তার প্রভাব বিস্তার এবং ক্লাব বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বহুবার আলোচনায় এসেছেন।
মামলার মূল অভিযোগসমূহ
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে:
- অবৈধ সম্পদ: ৩.৯৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়ের অতিরিক্ত সম্পদ
- সন্দেহজনক লেনদেন: একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক আর্থিক প্রবাহ
- ক্ষমতার অপব্যবহার: বিসিবি পরিচালক থাকাকালীন দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম
- ক্লাব বাণিজ্য: প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবগুলোর সাথে আর্থিক অনিয়মের যোগসূত্র
তদন্ত প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য শাস্তি
দুদকের সূত্রে জানা গেছে:
- সম্পদের উৎস যাচাইয়ে ৯০ দিনের তদন্ত সময় নির্ধারণ
- ১২টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তালিকাভুক্ত
- ৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন পরীক্ষা
- সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে
পাপন-মল্লিক নেটওয়ার্ক
একইসাথে:
- নাজমুল হাসান পাপন ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ মামলা
- ৮০০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ
- বিসিবি’র ২০১২-২০২২ সময়কালে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ
বিসিবিতে মল্লিকের প্রভাব
মল্লিকের কার্যকালে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি:
- ২০১৮ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মিডিয়া রাইটস বিতর্ক
- ২০২০ সালে জাতীয় দলের জার্সি স্পন্সরশিপ কেলেঙ্কারি
- ২০২১ সালে স্টেডিয়াম নির্মাণে দরপত্র জালিয়াতির অভিযোগ
বিশ্লেষকদের মতামত
ক্রিকেট বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান বলেন:
“বিসিবিতে এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারি গত এক দশকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় দলের পারফরম্যান্সেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”
আন্তর্জাতিক প্রভাব
আইসিসি’র দুর্নীতি নজরদারি ইউনিট এই মামলার তথ্য চেয়েছে। ২০২৩ সালে বিসিবি’র স্বচ্ছতা নিয়ে ICC রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
[আরোও পড়ুনঃতাইওয়ানে ভূমিকম্পের ধাক্কা] [ইউটিউবে ভিডিও দেখুন]
দুদকের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান:
“এই মামলা ক্রিকেট প্রশাসনে জবাবদিহিতার নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। আমরা ক্রিকেটের সাথে জড়িত সকল অনিয়মের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।”