বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজ ও ইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফারুক সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি না হওয়া প্রসঙ্গে “অস্থায়ী বাজার মন্দা”র কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় মিডিয়া সত্ত্ব বিক্রিতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফারুক এই অবস্থাকে অস্থায়ী সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবস্থার উন্নতি হবে। বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্যকে বর্তমান মিডিয়া শিল্পের চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আসন্ন বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে পারেনি। ফলস্বরূপ, এই দুটি দেশের মধ্যেকার ক্রিকেট লড়াই সরাসরি দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে না পারায় কিছুটা হতাশ হয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আজ শনিবার বনানীতে একটি অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদ এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি একেবারে শুরু থেকে বলতে হবে। বর্তমানে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে এক ধরনের মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। সরকারের পরিবর্তনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগছে।’
বিটিভি খেলা সম্প্রচার করলেও, এর জন্য বিসিবি কোনো আর্থিক সুবিধা পাবে না। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ খেলা দেখানোর জন্য বিটিভির কাছ থেকে সম্প্রচার সময় (স্লট) পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিটিভি খেলা দেখাচ্ছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিটিভির সম্প্রচার সময় পাওয়া বেশ কঠিন। বোর্ডের পক্ষ থেকে সচিব মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিটিভির সম্প্রচার সময় কিনতে হয়। আমরা তার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ যে বিটিভি বিনামূল্যে আমাদের খেলা দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে অন্ততপক্ষে খেলাটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’
বিটিভি ছাড়াও অন্য কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খেলা সম্প্রচার করা যায় কিনা, সেই চেষ্টাও চালাচ্ছে বিসিবি। বিসিবি প্রধান আরও জানান, ‘আমরা এখনো আলোচনা করছি, অন্য কোনো টিভি চ্যানেল পাওয়া যায় কিনা। যদি এই ম্যাচ নাও দেখানো সম্ভব হয়, আমরা পরের ম্যাচের জন্য চেষ্টা করব। এছাড়াও, আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির প্রক্রিয়াও চলছে। আমরা এর জন্য দরপত্র (টেন্ডার) তৈরি করে ফেলেছি এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাব।’