জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আপিল মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। আদালতের এই রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নিবন্ধন পুনরুদ্ধার নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ। বিস্তারিত জানুন জামায়াতের আপিলের রায় সংক্রান্ত আজকের আপডেটে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক পুনরুদ্ধারে করা আপিলের রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় এই মামলাটি প্রথমেই রয়েছে।
গত ১৪ মে এ সংক্রান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়। এরপর ১ জুন রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিক, যিনি ছিলেন প্রধান আইনজীবী। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ. সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
সেদিন আদালতে জামায়াত নেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। উপস্থিত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন এবং ঢাকা মহানগরীর আমির ও নায়েবে আমিরসহ অন্যান্য নেতারা।
এর আগে, ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া শুনানিতে আদালত জামায়াতের পূর্বে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত দেন। এ আদেশের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
মূলত, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট একটি রিটের রায়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে আপিল করা হলেও প্রধান আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে সেটি খারিজ হয়ে যায়। পরে সেটি পুনরুজ্জীবনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে শুনানির সুযোগ আসে।