ঢাকায় অনুমতি ছাড়া ঝটিকা মিছিলের চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হঠাৎ সংগঠিত এই কর্মসূচি ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো ঘটনার পেছনে থাকা উদ্দেশ্য ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের প্রতিবেদন।
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে ডেলটা হাসপাতালের সামনে হঠাৎ করে মিছিলের চেষ্টা করায় শ্যামপুর থানা পুলিশ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ-উর-রহমান মাসুম (৪৮), কদমতলী থানা যুবলীগের সদস্য আহসান কবির আদর (৩১) এবং ইদ্রিস আলী ঈশান (২২), যিনি একই থানার যুবলীগের সদস্য।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রোববার (১ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ধোলাইপাড়ে ডেলটা হাসপাতালের সামনের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে সরকারবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাকি ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়, কিন্তু তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা সম্ভব হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটানোর পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই ঘটনায় শ্যামপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পলাতক অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
