৫ আগস্টের পর যারা রাজনীতিতে এসেছে, তারা নির্বাচন চায় না

৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে আসা অনেকেই নির্বাচনকে এড়িয়ে চলছেন বলে মত বিশ্লেষকদের। তাদের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অনীহা স্পষ্ট। এই রাজনৈতিক প্রবণতা ও এর পেছনের কারণ জানতে বিশ্লেষণ পড়ুন পুরো প্রতিবেদনে।


নির্বাচন ও জাতীয় অগ্রগতির প্রসঙ্গে আমীর খসরুর বক্তব্য

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সদ্য দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

শনিবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আমীর খসরু বলেন, “যখন জাতি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে চায়, তখন এমন মন্তব্য জাতির জন্য হতাশাজনক।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়। অথচ যেসব গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পরে রাজনীতিতে জড়িয়েছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমীর খসরু আরও বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের প্রকৃত শক্তি। সবাইকে মিলে দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের সরকারকে সহায়তা করতে হবে।” তিনি আশ্বাস দেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তারা একটি জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করবে।

নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ যদি গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করতে চায় কিংবা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা সৃষ্টি করে, তবে জনগণকে সাথে নিয়েই তা প্রতিহত করা হবে।

“ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে”— এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *