জুমার পর কর্মসূচি আরও জোরদার হবে: হুঁশিয়ারি দিলেন হাসনাত

আওয়ামী লীগ বিরোধী কর্মসূচি বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসনাত। তিনি বলেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার হবে। আন্দোলনকারীদের অবস্থান থেকে সরানোর চেষ্টা হলেও তারা মাঠ ছাড়বেন না বলে জানান তিনি। তার দাবি, এটি জনগণের দাবি ও অধিকার আদায়ের অংশ। সরকারবিরোধী এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। এসময়ও শত শত নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে স্লোগানে মুখর করে রেখেছেন এলাকা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে শুক্রবার সকাল ৯টায় দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে জানান, জুমার নামাজের পরও বিক্ষোভ চলবে। এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের নিহতদের পরিবার, গুম-খুন-নিপীড়নের শিকাররা এবং সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবারবর্গ।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও লেখেন, “যতদিন না গণবিরোধী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে, ততদিন এই লড়াই চলবে।”

[আরোও পড়ুনঃনারায়ণগঞ্জের মেয়র] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

বৃহস্পতিবার রাতের শুরুতেই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন现场ে উপস্থিত হন। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। রাত একটার দিকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা যমুনার সামনে জড়ো হন, এরপর রাত দেড়টায় এবি পার্টির নেতারা এবং রাত দুইটার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে পৌঁছান। শুক্রবার সকাল আটটার দিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আন্দোলনে যুক্ত হন। তাদের নেতৃত্ব দেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

বিক্ষোভস্থলে এখন রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক নানা সংগঠনের কর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *