নির্বাচন কমিশনার মাছউদ আহমদ মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না-ও পারে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। বিস্তারিত জানুন নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রেক্ষাপট এবং এর সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে।
আওয়ামী লীগ আপাতত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান মাছউদ। তিনি জানান, দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছে।
সোমবার সকালে রাজশাহীর আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫: পরবর্তী মূল্যায়ন ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কমিশনার বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকেও দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা বলা এখনও সময়োপযোগী নয়। তবে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, রাজশাহী বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারা, বিভাগীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
