অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগিরই অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও বাজেট বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংশোধনের মাধ্যমে নীতিমালা আরও যুগোপযোগী ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে আমাদের সংবাদ প্রতিবেদন পড়ুন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক ও কর ক্যাডারের স্বার্থ সংরক্ষণ করে রাজস্ব নীতি এবং বাস্তবায়ন বিভাগকে পৃথক করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাঠামো কীভাবে গঠন করা হবে, তা এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হবে।
এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থ উপদেষ্টা মঙ্গলবারের বৈঠকে বলেছেন—রাজস্ব নীতির সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশে পরিবর্তন আনা হবে এবং তা কার্যকর করা হবে। এমন ইতিবাচক অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও ঐক্য পরিষদের নতুন করে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণার যৌক্তিকতা নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অধ্যাদেশ কার্যকরের জন্য একাধিক ধাপ পেরোতে হবে—যেমন দুইটি নতুন বিভাগ গঠনের জন্য প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি, পদ সৃষ্টিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, সচিব কমিটির সম্মতি এবং প্রচলিত আইন ও বিধিতে সংশোধন। ফলে এই পুরো প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ, তাৎক্ষণিকভাবে এনবিআর বিলুপ্তির সম্ভাবনা নেই।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার এনবিআরের দুই সাবেক সদস্যের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে ঐক্য পরিষদের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়। তবে, শেষ মুহূর্তে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার না করে কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে আবারও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশটি সংশোধন করে বাস্তবায়নের কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে। এনবিআরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে এবং কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তারা বর্তমান কাঠামোতে দায়িত্ব পালন করবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, শুল্ক ও কর ক্যাডারের কোনো পদ বা পদবি কমানো হবে না। বরং সংস্কারের ফলে পদ সংখ্যা বাড়বে এবং সচিবসহ উচ্চপদে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সর্বশেষে বলা হয়েছে, দেশের স্বার্থে, অর্থবছরের শেষ সময়ে বাজেট প্রক্রিয়া ও রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।