এনবিআরকে ঘিরে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি আলোচনার মাধ্যমে দূর হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সফল সমঝোতার ফলে সংকট কেটে গেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে এবং এনবিআর কর্তৃপক্ষও নতুন করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে দ্রুত।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ে আগে যে বিভ্রান্তি ছিল, তা এখন নিরসন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, এনবিআরের দুটি বিভাগে বিভক্ত থাকার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটিই বহাল থাকবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এনবিআরের কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তবে এ বিষয়ে তিনি আরও কিছু বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, অর্থ উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা কর্মকর্তাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং তা থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ সংক্রান্ত আলোচনায় এনবিআর সংস্কার কমিটি এবং কর ও কাস্টমস ক্যাডারের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উপস্থাপিত মতামতগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে পৃথক করে দুটি বিভাগ গঠন করা হয়—একটি ‘রাজস্ব নীতি’, অন্যটি ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মকর্তারা টানা চার দিন কলম বিরতি পালন করেন।