রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ওয়াহেদকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কারণ এখনও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক সংযোগ ও প্রশাসনিক অনিয়মের সম্ভাবনার কথা উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন জানায়, তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনে তাকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হতে পারে। এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, যা আরও আলোচনা ও উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
নওগাঁয় গ্রেফতার: লিটনের সাবেক সহকারী ও বিএনপি নেতা আটক
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আবদুল ওয়াহেদ খান টিটুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে চাকরাইল চৌধুরীপাড়া গ্রামের এক বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই অভিযানে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাগর চৌধুরীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আবদুল ওয়াহেদ খান রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রুয়েটের সেকশন অফিসার থাকা অবস্থায় তিনি পাঁচ বছর লিটনের পিএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যার ফলে তিনি দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সমান্তরালভাবে বেতন নেওয়ার অভিযোগে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সাগর চৌধুরী নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা। তাকে আক্তার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে আরেফিন সিদ্দিকীর অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
[আরোও পড়ুনঃযমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াহেদ খান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পিস্তল হাতে গুলিবর্ষণ করে ভাইরাল হওয়া জহিরুল হক রুবেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দুজনের বিরুদ্ধেই কিশোর গ্যাং লালন, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে ওয়াহেদ খানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়, যার একটি হত্যা মামলা।
বদলগাছী থানার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, “সাগর চৌধুরীর সঙ্গে ওয়াহেদের আত্মীয়তার সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধেও আশ্রয়দানের মামলা দায়ের করা হবে।”