“মার্কিন-চীন বাণিজ্য বৈঠকে যুগান্তকারী অগ্রগতি: ট্রাম্পের ঘোষণা”

“যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন-চীন বাণিজ্য সংঘাতের সমাধানে কী ধরনের সমঝোতা হচ্ছে? ট্রাম্পের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? জানুন এই ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্য শর্তাবলী ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।”


চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন অধ্যায়: শুল্ক সংকটে সমঝোতার সম্ভাবনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে চীন-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন, “সুইজারল্যান্ডে চীনের সাথে আমাদের উৎপাদনশীল বৈঠক হয়েছে। বহু ইস্যুতে আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি।” এই আলোচনা দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের শুল্ক সংঘাত নিরসনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা : সংগৃহীত: রয়টার্স

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির। অন্যদিকে চীনের সহকারী প্রধানমন্ত্রী হি লিফেং তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যদিও মার্কিন অর্থমন্ত্রী সতর্ক করেছেন যে, “এখান থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বড় চুক্তি আশা করা উচিত নয়।”

[আরোও পড়ুনঃ নিষিদ্ধকরণের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:

  • বর্তমানে চীনা পণ্যে ১৪৫% শুল্ক বলবৎ আছে
  • এর প্রতিক্রিয়ায় চীন মার্কিন পণ্যে ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছে
  • ট্রাম্প শুল্ক হার ৮০%-এ নামানোর পরিকল্পনা করছেন
  • বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ৫০% শুল্ক হলে বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে

এই শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব ইতিমধ্যেই স্পষ্ট:
✓ যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তামূল্য সূচক ৪% বৃদ্ধির আশঙ্কা
✓ চীনের কারখানা উৎপাদন ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
✓ ২০২৫ সালের মধ্যে চীন থেকে আমদানি ৭৫-৮০% কমতে পারে
✓ মার্কিন ভোক্তাদের জন্য দৈনন্দিন পণ্যের দাম বৃদ্ধি

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির এই সংঘাত পুরো বৈশ্বিক বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন ও চীনা অর্থনীতি পরবর্তী ২০টি অর্থনীতির সম্মিলিত আকারের চেয়েও বড়।

[আরোও পড়ুনঃ এমটি পদে বেতন ৭৫০০০ টাকা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিনহুয়া এই আলোচনাকে “সমস্যা সমাধানের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, চূড়ান্ত সমাধান পেতে আরও সময় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *