ভারতের বিকল্প বাজার ধরতে রপ্তানিকারকরা বন্ড সুবিধার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, নতুন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে শুল্ক ও নীতিগত সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। বন্ড সুবিধা না থাকলে সম্ভাবনাময় রপ্তানি ক্ষেত্রগুলো পিছিয়ে পড়তে পারে। বিস্তারিত জানুন ব্যবসায়ীদের এই আহ্বান ও প্রস্তাবনা সম্পর্কে।
ভারতের বাজারে বাংলাদেশের আসবাবপত্রের রপ্তানি তুলনামূলকভাবে সীমিত হলেও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা এ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য সরবরাহ করে আসছি। বিশেষ করে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’ নামে পরিচিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের আসবাবের চাহিদা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত এসব অঞ্চলে আসবাব রপ্তানি হতো।
বর্তমানে বছরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হলেও, অতীতে এই পরিমাণ ছিল ১.৫ থেকে ২ লাখ ডলারের মতো। তবে সম্প্রতি ভারত সরকার স্থলপথে আসবাবপত্র আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায়, এই রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। যদি এই বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকে, তাহলে বিকল্প রুটে রপ্তানি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না—ফলে আগ্রহ হারাবে অনেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বন্ড-সুবিধার দাবি জানিয়ে আসছিলাম, এবং এবারকার বাজেটে সে বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া গেছে। তবে ভারতের বাজারে বাধা তৈরি হওয়ায় এখন বিকল্প বাজার খুঁজে বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাবনাময় বাজারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব দেশে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই বন্ড সুবিধা প্রয়োজন।
আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক সহায়তা পেলে উন্নত বিশ্বেই বাংলাদেশি আসবাবপত্রের জন্য বড় রপ্তানি বাজার তৈরি করা সম্ভব। একইসঙ্গে ভারতের বাজারে ক্ষতির যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটিও কাটিয়ে ওঠা যাবে।