শাকিব খানের নতুন ছবি ‘তাণ্ডব’ ঘিরে দর্শকের কৌতূহল তুঙ্গে। এবার শোনা যাচ্ছে, জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোও এই প্রজেক্টে যুক্ত হতে পারেন। যদিও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি, তবে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। শাকিব-নিশোর যুগলবন্দি হলে এটি হতে পারে বড় চমক!
বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ঢাকাই সিনেমার মধ্যে একটি চমৎকার মিল রয়েছে। ক্রিকেটে যেমন আছে ‘সাকিবিয়ান’ আর ‘তামিমিয়ান’, তেমনি চলচ্চিত্রেও রয়েছে ‘শাকিবিয়ান’ এবং নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘নিশোইয়ান’। বড় তারকাদের নিয়ে আলাদা সমর্থক গোষ্ঠী থাকা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু এখন যে ধরনের ‘ভার্চ্যুয়াল লড়াই’ চলছে, তা যেন সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ঈদের ছবি ‘তাণ্ডব’ ঘিরে।
ঘটনার শুরু হয় ২৩ মে, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানে। উপস্থাপক ছিলেন আফরান নিশো ও তাসনিয়া ফারিণ। সেদিন শাকিব খানকে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা দেওয়া হয়, একই সঙ্গে ‘তুফান’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারও পান তিনি। এরপর যখন মঞ্চে একসঙ্গে পারফর্ম করেন শাকিব ও নিশো, তখন অনেকেই তাঁদের রসায়ন উপভোগ করলেও কেউ কেউ শুরু করে কটাক্ষ, রটায় গুজব, তৈরি করে বিভ্রান্তিকর মিম।
ঘটনা আরও জটিল হয় যখন শোনা যায়, ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অতিথি চরিত্রে থাকতে পারেন নিশো। নির্মাতা রায়হান রাফী নাকি এই ব্যাপারে শাকিবকে কিছু না জানিয়েই শুটিং করতে চেয়েছিলেন। এই গুজবেই ফেটে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। শুরু হয় ‘শাকিবিয়ান’ বনাম ‘নিশোইয়ান’ তর্ক-যুদ্ধ। অনেকেই নিশোর সিনেমায় থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন, কেউ আবার শাকিব খানের অবস্থানকে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেন। শুরু হয় একে অপরের বিরুদ্ধে ভিডিও, পোস্ট ও অপপ্রচারের ঝড়।
রায়হান রাফীর একটি ফোন কল ফাঁস হওয়ার গুজবও তেলে-জল ঢালে আগুনে। কেউ কেউ বলেন, কলটি ভুয়া এবং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে প্রোডাকশন টিম বা অভিনেতাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
মূলত এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে জনপ্রিয়তার সংঘাত এবং ভক্তদের আবেগের অতি প্রকাশ। কেউ মনে করেন, নিশোর উপস্থিতি প্রাসঙ্গিক, কেউ আবার বলছেন, শাকিবের সিনেমায় তাঁর থাকা অনুচিত। কিন্তু একাংশ মনে করেন, এসব সংঘাত সিনেমার জন্য ক্ষতিকর।
‘তাণ্ডব’ সিনেমায় নিশো থাকছেন কি না, সেটি দেখা যাবে মুক্তির পর। তবে এই দ্বন্দ্বে জয়ী হওয়ার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, সিনেমা ও শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া। কারণ, ফ্যানবেসের সীমাহীন আবেগ যদি সৃজনশীলতাকে রুদ্ধ করে ফেলে, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো ইন্ডাস্ট্রি।