অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মাইলস ব্যান্ডের এক জমজমাট কনসার্ট। প্রবাসী দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানস্থল। সিডনির মঞ্চে মাইলসের পারফর্মেন্স যেন প্রমাণ করে, সময় পেরোলেও ভালো গানের আবেদন চিরকালীন। চিকিৎসকদের এমন আয়োজন প্রশংসা কুড়ায় সব মহলে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় চমৎকার পারফরম্যান্স উপহার দিল দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল মাইলস।
গত শনিবার (১ জুন), বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি নিউ সাউথ ওয়েলস এর উদ্যোগে সিডনির পেনরিথ এলাকার বিলাসবহুল পুলম্যান হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই গালা নাইট, যেখানে অংশ নেন প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং তাঁদের পরিবার।
সন্ধ্যা শুরু হয় স্থানীয় শিল্পী অভিজিৎ ও প্রিয়াঙ্কার সুরের আবহে। এর পরপরই মঞ্চে হাজির হন মাইলস সদস্যরা—আর শুরু হয় এক ভিন্ন আবেগের যাত্রা। মাইলসের চিরচেনা গান ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘চাঁদতারা’, ‘জ্বালা জ্বালা’-র তালে তালে সিডনির আবহ যেন হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলা।
এদিন মাইলসের হয়ে পারফর্ম করেন মূল সদস্যরা:
- হামিন আহমেদ (ভোকাল ও ড্রামস)
- মানাম আহমেদ (কি–বোর্ড ও কণ্ঠ)
- সৈয়দ জিয়াউর রহমান তুর্য (গিটার ও কণ্ঠ)
- ইকবাল আসিফ জুয়েল (লিড গিটার)
- মোরশেদ খান (বেজ গিটার)
এই সম্পূর্ণ উপস্থিতি পুরো পরিবেশকে করে তোলে আরও উদ্দীপ্ত।
মাইলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা মানাম আহমেদ বলেন, “এমন আয়োজনে ডাক পাওয়া আমাদের জন্য অনেক সম্মানের। সিডনিতে বসবাসরত চিকিৎসকদের সাফল্য ও একাগ্রতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।” তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান ডা. ফাইজুর রেজা ইমনকে, যিনি পুরো অনুষ্ঠানটি সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
হামিন আহমেদ, মাইলসের প্রাণপুরুষ, বলেন, “এটা শুধু কনসার্ট নয়—এটা ছিল ভালোবাসার উৎসব। চিকিৎসা আর সঙ্গীত—দুইয়ের মধ্যে একটা অদ্ভুত মিল আছে, দুটোই মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে যায়। একদিকে ওষুধ, অন্যদিকে সুর—আজকের এই মিলন ছিল সেই দুই শক্তির সম্মিলন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করি সুরের মাধ্যমে মানুষকে ভালোবাসা দেওয়া, আর চিকিৎসকেরা প্রতিদিন সেটা করেন জীবনের লড়াইয়ে—তাঁরা দেশের গর্ব।”
তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠান আয়োজক ডা. নাজমুন নাহার (বর্তমান সভাপতি) এবং ডা. রেজা আলী (সাবেক সভাপতি)-কে, যাঁদের চেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
হামিন তার বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, “সিডনির প্রতি আমাদের ভালোবাসা বরাবরের মতোই গভীর। আবার দেখা হবে আগামী অক্টোবর মাসে।”
